মহান আল্লাহ্ তায়ালা মানবজাতিকে পৃথিবীতে দায়িত্বশীল প্রতিনিধি এবং আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্ঠির সেরা জাতি হিসেবে সৃষ্টি করে কুরআন-সুন্নাত, জ্ঞান-বিজ্ঞান দ্বারা প্রকৃতভাবে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলারও সুযোগ করে দিয়েছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান, বুদ্ধি-বিবেক থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রতিনিধিত্বের কথা ভুলে গিয়ে, প্রথাগত ভাবে যখন অন্ধকারে ডুবে যাই, ভুলে যাই আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের কথা, তখনই মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনার জন্য, যুগে যুগে নবী রাসুল প্রেরণ করেন। তাঁদের পর আউলিয়া কেরাম ও হাক্কানী আলেমে দ্বীনের মাধ্যমে পথভ্রষ্ট মানবজাতিকে আলোর পথ দেখান। তাঁদের অক্লান্ত প্ররিশ্রম ও সাধনার বিনিময়ে আমরা মহান আল্লাহ্ ও তদীয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র নির্দেশিত ও প্রদর্শিত কুরআন সুন্নাহ্ ভিত্তিক সঠিক পথ খুঁজে পাই।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ পাহাড়ের পাদ দেশে বিস্তৃত এই মির্জাপুর যে কয়জন আলেমে দ্বীন ও আউলিয়া কেরামের পদচারণায় ধন্য হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রধান হলেন হযরত জয়নুল্লাহ্ মোমেন শাহ্ (রহঃ) ও হযরত সৈয়দ মৌলানা মছিহুল্লাহ্ শাহ্ (প্রকাশ বড় মৌলানা রহ)। এই দুই মহান মনিষীর আলোয় আলোকিত এতদঞ্চলের মানুষ একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বঞ্চিত ছিল। যেখান থেকে মুসলিম সন্তানগণ উচ্চতর দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। ভারত থেকে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করে দেশে ফিরে বিভিন্ন মাদ্রামায় শিক্ষকতার সময় হযরত জয়নুল্লাহ্ মোমেন শাহের যোগ্য উত্তরসূরী, হযরত আল্লামা মুফতি রশিদ আহমদ (রহ) এই অভাবটুকু গভীরভাবে অনুভব করেন। তাঁর অনুভুতির কথা তিনি মৌলানা বজল আহমদ, মৌলানা করিম বক্স ও মৌলানা কাজী আমিনুল হক সাহেবক্রয় কে অবগত করে পরামর্শ করেন। ১৯২৯ইং সালের শুরুতেই সবার সাথে পরামর্শ করে আল্লামা মুফতি রশিদ আহমদ মির্জাপুর মোমেনীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ঘোষনা করেন এবং সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯২৯ইং সালের ০১লা এপ্রিল সকাল বেলায় জুনিয়র মডেল স্কুলের পাশে পরিত্যক্ত সার্কেল স্কুলে অস্থায়ী ভাবে ক্লাস শুরু করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস